মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
অভিন্ন মোবাইল ক্যাশ আউট চার্জ নির্ধারণ

অভিন্ন মোবাইল ক্যাশ আউট চার্জ নির্ধারণ

সব সরকারি কার্যক্রমে একটি অভিন্ন মোবাইল ক্যাশ আউট চার্জ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এই চার্জ হচ্ছে শতকরা ৭০ পয়সা (শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ)। অর্থ্যাৎ, ১০০ টাকায় ক্যাশ আউট চার্জ হবে ৭০ পয়সা এবং হাজার টাকায় তা হবে ৭ টাকা। এখন থেকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও সরকারের অন্যান্য কার্যক্রমের নগদ অর্থ ‘মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস’(এমএফএস)-এর মাধ্যমে বিতরণের জন্য এই অভিন্ন চার্জ প্রযোজ্য হবে। কোনো অবস্থায়ই এমএফএস অপারেটরা এর বেশি ক্যাশ আউট চার্জ সরকারের কাছ থেকে নিতে পারবে না।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অর্থ বিভাগ থেকে জারি করা এক পরিপত্রে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। বর্তমানে এই ক্যাশ আউট চার্জ অপারেটর ভেদে ৬০ পয়সা থেকে এক টাকা ৮৫ পয়সা পর্যন্ত নেয়া হয়ে থাকে। অভিন্ন ক্যাশ আউট চার্জ নির্ধারণ করার ফলে সরকারের বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে ১৩টির মতো এমএফএস সার্ভিস রয়েছে। তবে মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, বিকাশ, রকেট, নগদ, ইউক্যাশ, শিওরক্যাশ অন্যতম।

অর্থ বিভাগ থেকে জারি করা এই পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম/প্রকল্প/ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে থাকে। এসব সামাজিক নিরপত্তা কর্মসূচির মধ্যে বিভিন্ন প্রকার ভাতা, সম্মানী, বৃত্তি-উপবৃত্তি ইত্যাদি কার্যক্রমের ক্ষেত্রে নগদ অর্থ সুবিধাভোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া, সরকারের অন্যান্য কার্যক্রমেও নগদ অর্থ সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছানোর প্রয়োজন হয়।’

এসব নগদ অর্থ সময়মতো নিরবচ্ছিন্নভাবে সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দেয়া সরকারের অন্যতম লক্ষ্য-উল্লেখ করে পরিপত্রে আরো বলা হয়েছে, ‘এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার ইতোমধ্যে নগদ অর্থ সরকারি কোষাগার থেকে ‘গর্ভমেন্ট টু পারসন’ (জিটুপি) পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক এমএফএসর (মোবাইল ফাইন্সিয়াল সার্ভিস) মাধ্যমে সরাসরি উপকারভোগীর কাছে বিতরণের বিষয়টি অগ্রাধিকার প্রদান করেছে। এ প্রেক্ষাপটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও সরকারের অন্যান্য কার্যক্রমের নগদ অর্থ এমএফএসের মাধ্যমে বিতরণের জন্য একটি অভিন্ন ক্যাশ আউট চার্জ রির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায়, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্যান্য কার্যক্রমের নগদ অর্থ এমএফএস এর মাধ্যমে বিতরণের জন্য সরকার কর্তৃক একটি অভিন্ন ক্যাশ আউট চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে।

পরিপত্রে এ নির্দেশনা পালনের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও সরকারের অন্যান্য কার্যক্রমের নগদ অর্থ এমএফএস এর মাধ্যমে বিতরণের ক্ষেত্রে বিতরণকারী সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ এ অভিন্ন ক্যাশ আউট চার্জ অনুসরণ করবে। এবং মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও সরকারের অন্যান্য কার্যক্রমের নগদ অর্থ বিতরণের জন্য এমএফএস এর অপারেটর নির্ধারণ, অপারেটরের কার্যপরিধি সুনির্দিষ্টকরণ এবং তা যথাযথভাবে মনিটরিং করবে। ’

এই বিষয়ে অর্থ বিভাগের এক যুগ্ম সচিব বলেছেন, বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন ধরনের প্রায় অর্ধশত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো কর্মসূচির অর্থ আবার মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যমে পাঠানো হয়ে থাকে। এই মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা উপকারভোগীদের কাছে পাঠানো হয়। যে নগদ অর্থ পাঠানো হয় তার ক্যাশ আউট চার্জ সরকারকেই বহন করতে হয়। এর ফলে ক্যাশ আউটের চার্জ অর্ধেকে নামিয়ে আনার ফলে সে ক্ষেত্রে সরকারের সাশ্রয় হবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। কারণ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের সব ক্যাশ আউট খরচ সরকার বহন করে থাকে।

উল্লেখ্য, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে মাধ্যমিক স্তরে ৫.৫৭ লাখ ছাত্র, ১০.৯৫ লাখ ছাত্রী, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ১.১৬ লাখ ছাত্র, ৪.৬২ লাখ ছাত্রী এবং ডিগ্রি স্তরে ৫০ হাজার ছাত্র ও ১.৫০ লাখ ছাত্রীকে উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে প্রায় ছয় লাখ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে এবং এই অর্থবছরে আরো এক লাখ ৮৭ হাজার শিক্ষার্থী মেধাবৃত্তি প্রদান করা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com